কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ ও একলাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম ও ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন যৌথ অভিযান চালিয়ে নানান অনিয়ম ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এ জরিমানা করেন।
এ অভিযানে কিশোরগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন বরাবর এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়।
এসময় প্যাথলজি বিভাগে সার্টিফিকেট নেই এমন ব্যক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরিক্ষা ও রিপোর্ট তৈরিসহ নানান অভিযোগের সত্যতা পায় সিভিল সার্জন ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব অনিয়মের দায়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দায়িত্ব ও খরচে এই হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীদের সরিয়ে হাসপাতালটিকে বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা সিভিল সার্জন ও আমি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম পাই। ওই হাসপাতালে যারা পরীক্ষা নিরিক্ষার রিপোর্ট তৈরি করে তাদের কোন সার্টিফিকেট নেই।
এছাড়াও ওটিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন কাগজপত্র সঠিক নেই। নানা অনিয়মের দায়ে আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করি। আমি এবং সিভিল সার্জন যৌথভাবে সিন্ধান্ত নেয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ থাকবে। আগামী এক দুদিনের মধ্যে রোগীগুলো অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নেয়ার পর তা বন্ধ করে দেয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক করা না হবে ততদিন বন্ধ থাকবে হাসপাতালটি।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতাল সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্যবিভাগ ঢাকা ও ভৈরব উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এক দুদিনের মধ্যে হাসপাতালের রোগী সরানোর পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস একটি লিখিত অভিযোগ পায়।
মানহীন কার্যক্রম পরিচালনা এবং হাসপাতালের লাইসেন্সের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। এছাড়াও অতীতের কিছু সমস্যার অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই হাসপাতালটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে নিজ দায়িত্ব ও খরচে রোগীদেরকে অন্য হাসপাতালে টান্সফার করে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। নয়ত আমাদেরকে জানালে ভৈরবের এসিল্যান্ড সাহেব গিয়ে বন্ধ করে দিয়ে আসবে।
টিএইচ